ছবি: সংগৃহীত
গত বুধবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করে চন্দ্রযান-৩ এর ‘বিক্রম’। এর মাধ্যমে ভারত এক ইতিহাস রচনা করে। বিষ্ণুপুর জেলার থাঙ্গা ওইনাম লেইকাইয়ের মণিপুরি বিজ্ঞানী রঘু নিংথৌজাম ব্যাঙ্গালোরে ইসরো সদর দপ্তরের টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট এন্ড ইনোভেশনে ডেপুটি ডিরেক্টরের পদে রয়েছেন। তিনি এ অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
বিগত ১৮ বছর ধরে ইসরোতে কাজ করছেন তিনি। ঐতিহাসিক চন্দ্রযান-৩ মিশনের অংশীদার হয়ে তিনি তার আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি ডিএম কলেজ অফ সায়েন্সে পদার্থবিদ্যায় অনার্সে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পদার্থবিদ্যায় মাস্টার্স পাস করেন। এর পর, তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) গুয়াহাটি থেকে পদার্থবিদ্যায় স্বর্ণপদক অর্জন করেন।
চন্দ্রযান-২ মিশনের সূচনাকারী ১২ সদস্যের কোর কমিটিতে ছিলেন তিনি। চন্দ্রযান-৩ বিজ্ঞানীদের একটি টিমওয়ার্ক ছিল।
চন্দ্রযান-৩ এর তিনটি প্রধান উদ্দেশ্য রয়েছে। তা হলো- চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ; রোভার আনলোড করা; এবং রোভারের পেলোডে লাগানো আলফা পার্টিকেল ইনডিউসড এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (এপিএক্সএস) এর মতো বিভিন্ন প্রযুক্তির সাহায্যে চাঁদের মাটি, পাথরের উপাদান বিশ্লেষণ করা।
পেলোডটিতে তাপমাত্রা এবং কম্পনের মতো অন্যান্য বৈশিষ্ট্যসহ চাঁদের পৃষ্ঠের ভৌত বৈশিষ্ট্যগুলো অধ্যয়ন করার প্রযুক্তিও রয়েছে।
চাঁদের পৃষ্ঠে চন্দ্রযানের সফল অবতরণ চাঁদের অনেক অজানা দিককে মানবজাতির কাছে তুলে ধরবে।
অন্যদিকে আসামের শিলচরের বাসিন্দা ওয়াই বিশাল চন্দ্রযান-৩ এর তাপ নিয়ন্ত্রণ দলের একজন ছিলেন। মণিপুর ও আসামের বেশকিছু বিজ্ঞানী ও সংস্থা এ অভিযানে অংশ নেন এবং তাদের সহযোগিতার ফলেই এ অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
আর.এইচ/ আই. কে. জে/
খবরটি শেয়ার করুন